মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে হয়রানি করে বিএনপিকে থামানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৪ আগস্ট) নয়া পল্টনে বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই দেশের মানুষ এখন জেগে উঠেছে। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংকট এটা শুধু বিএনপির একার নয়, পুরো জাতির সংকট। বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে এই জনতা। কারাগারে পাঠিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের থামাতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত কী বলল সেটি ভাবার আমাদের কোনো দরকার নেই। আমাদের দরকার এদেশের মানুষ। এদেশের মানুষ সরকারকে বার্তা দিয়েছে যে, তাড়াতাড়ি বিদায় হও। আর সময় নেই। এরা দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছে? এদেরকে চলে যেতে হবে। চলে যেতেই হবে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দুর্নীতি করে এ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচারের নিতম্ব থেকে চেয়ার সরানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। তাই এদের নিতম্ব থেকে চেয়ার সরাতে হবে। এবার মুক্তির পণ নিয়ে এদেরকে হটাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। একটাই পথ এ সরকারকে সরাতে হবে। আর অন্য কোনো পথ খোলা নেই উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অস্তিত্ব রক্ষায় ও দেশের স্বার্থে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। নেতাকর্মীরা হাঁটু পানিতে দাড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বৃষ্টিতে ভিজে সমাবেশ স্থলে অবস্থান করেন নেতাকর্মীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় সাড়ে তিনটার দিকে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।